দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে

দাঁত যন্ত্রণা : ওষুধ ছাড়াই ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে ! বিশ্বাস হচ্ছে না ?

দাঁতের যন্ত্রণায় যারা ভোগেন তারাই জানেন এর মতো আর কোনো যন্ত্রণায় এত কষ্ট পেতে হয় কিনা ! বাপের নাম ভুলিয়ে দেয় এই দাঁত যন্ত্রণা।

দাঁতের যন্ত্রণা যখন শুরু হয় তখন মনে হয়না কারো সঙ্গে কথা বলি। তখন ভালো কথা বললেও রাগে শরীর জ্বলে যায়। দুপ করে রাগে জ্বলে ওঠে মাথা। আর যিনি এই ভালো কথাগুলো বলতে গিয়ে ধমক খেলেন তিনি ভাবেন -কী এমন খারাপ কথা বললাম যে রেগে গেল ?!

আসলে দোষ তারও না , আপনারও না। দোষ হল গিয়ে দাঁতের।

চলুন দেখি দাঁতকে সোজা করা যায় কিনা ! ব্যাটা বড় বাড় বেড়েছে। দাঁড়াও ঠান্ডা করছি তোমাকে।

তার আগে বলে নিই কিভাবে বা কোন পদ্ধতিতে এটা করার মনস্থ করেছি। হ্যাঁ গত পর্বের মতো এপর্বেও সাহায্য করবে সেই অ্যাকিউপ্রেসার। বুঝতে পেরেছেন তো ? কি বললেন- মাথায় ঢুকলো না কিছু। আচ্ছা বুঝেছি , আপনি আমার আগের পর্ব পড়েন নি। বেশ তাহলে এখান থেকে পড়ে নিন তাহলে এপর্বটা বুঝতে সুবিধা হবে।

বেশ তাহলে পড়ে নিয়েছেন। তাহলে এপর্বে আর অ্যাকিউপ্রসার নিয়ে আলোচনা না করে সরাসরি দাঁতের ব্যথার নিরাময়ে ঢুকে গেলাম।

বিজ্ঞাপণ

আমি যেভাবে দাঁতের নাম্বারিং করেছি সেটা লক্ষ করুন।
মানে হল মুখের একেবারে সামনে মাঝখানে যে দুটো দাঁত আছে তার একটা আপনার বামপাশে আর একটা ডানপাশে।ডানদিকে আপনার যে দাঁতের সারি এটা তাঁর একনম্বর দাঁত।এরপরেরটা ২ , তার পরেরটা ৩ , তার পরেরটা ৪ ……।এইভাবে গুনতে হবে। বাদিকের দাঁতের সারিও এইভাবেই গুণতে হবে । নিচের পাটির দাঁতও এইভাবে গুণতে হবে।

এবার নিচে হাতের ছবি দেখুন।

A= তর্জনী
B=মধ্যমা
C=অনামিকা
D=কণিষ্ঠা
এখন কতগুলি জলের মতো সহজ জিনিস আপনাকে কষ্ট করে মনে রাখতে হবে।
১।বাদিকের উপরের পাটি বা নিচের পাটি দুটোর জন্যেই বাদিকের হাত।
২।ডানদিকের উপরের পাটি বা নিচের পাটি দুটোর জন্যেই ডানদিকের হাত।

১,২ নং দাঁতের জন্যে A বা তর্জনী
৩,৪ নং দাঁতের জন্যে B=মধ্যমা
৫,৬ নং দাঁতের জন্যে C=অনামিকা
৭,৮ নং দাঁতের জন্যে D=কণিষ্ঠা

সেটা উপরের পাটি বা নিচের পাটির দাঁত যাই হোক না কেন।
ধরুন আপনার কোনো একটি দাঁত যন্ত্রণা করছে আপনি প্রথমে জিভ ( জিহ্বা) দিয়ে গুনে ফেলুন কোন দাঁতটা যন্ত্রণা করছে। ধরুন গুনে দেখলেন আপনার বাদিকের উপরের পাটির ৩ নং দাঁতটা যন্ত্রণা করছে । তাহলে আপনাকে বাহাতের মধ্যমা , এই আঙুলটাকে এইভাবে ছবির মতো চিপে ধরতে হবে। যাতে একটু লাগে।

বিজ্ঞাপণ

কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যে দেখবেন আপনার দাঁতের যন্ত্রণা কমতে শুরু করেছে । যতক্ষণ আপনি সহ্য করতে পারবেন ততক্ষণ চিপে ধরে থাকুন। বা আপনি যদি না পারেন তবে কাউকে চিপে ধরে রাখতে বলুন আপনার সহ্য ক্ষমতা অনুযায়ী। বা আপনি কোনো ক্লিপ নিচের ছবির মতো আঙুলে দিয়ে রাখতে পারেন(তবে এমন কিছু করবেন না যাতে আঙুলে রক্ত জমে যায় বা অন্য কোনো সমস্যা শুরু হয় এবং সবটাই হবে আপনার সহ্য ক্ষমতা অনুযায়ী।)

ধরুন আপনার ডান দিকের নিচের চোয়ালের ৮ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে ডানহাতের কণিষ্ঠা (D) আঙুল চিপতে হবে।

ধরুন আপনার বাদিকের নিচের চোয়ালের ১ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে বাহাতের তর্জনী (A) আঙুল চিপতে হবে

বাদিকের উপরের চোয়ালের ৪ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে বাহাতের মধ্যমা (B) আঙুল চিপতে হবে

ডানদিকের উপরের চোয়ালের ৫ নং দাত যন্ত্রণা করছে তবে আপনাকে ডান হাতের অনামিকা (C) আঙুল চিপতে হবে আশা করি বোঝাতে পেরেছি।

তবে শিরোনামটা ভালোভাবে খেয়াল করবেন আমি বলেছি “দাঁত যন্ত্রণা : ১৫ সেকেন্ডে কমে যাবে”
সেরে যাবে বলিনি।এটা আপনাকে দাঁতের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করবে। তবে আপনাকে কতকগুলো টিপস আমি দিতে পারি

১। দিনে অন্ততঃ তিনবার দাঁত মাজুন। সকালে রাত্রে দুই বার ব্রাশের সাহায্যে। আর দিনের কোনো একটা সময়ে আঙুলের সাহায্যে। আঙুল দিয়ে মাজার ফলে দাঁত ও দাঁতের গোড়ায় মেসেজ হয়ে যাবে যা রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করবে।

২। ব্রাশ দিয়ে মাজার সময় বেশি করে উপর নিচ অনুযায়ী মাজুন। আর্থাৎ উপরের পাটির দাঁত থেকে নিচের পাটির দাঁতের দিকে। এরপর পাশাপাশি মাজুন। এরপর দাঁতের ভিতরের দিকটাও মেজে নিন।

৩। আর এবার যেটা বলব সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ-রাত্রে খাবার পর দাঁতমাজার পরে একগ্লাস গরম জল করে তার মধ্যে আড়াই চামচ মতো লবণ বা যতটুকু আপনি সহ্য করতে পারবেন ততটুকুই লবণ দিয়ে কুলকুচি করে ফেলেদিন।এতে আপনার মুখ ও দাঁত জীবানমুক্ত ও দীর্ঘজীবি হবে। (তবে সাবধান –যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাডপ্রেসার আছে তারা এটা করতে যাবেন না বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করবেন।)

 

চটজলদি দাঁত ব্যথা নিরাময়ের ৭টি জাদুকরি উপায়!

দাঁতের ব্যাথাকে আমরা অনেকে আমল দেই না। প্রয়োজনমতো দাঁতের যত্ন নেই না, ডেন্টিস্টের কাছে যাই না নিয়মিত। এর পর যখন দাঁতের ব্যথায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয় তখনই কেবল ডেন্টিস্টের কাছে দৌড়াই। কিন্তু দাঁত ব্যথার রয়েছে বড়ই বাজে একটা অভ্যাস। রাতের বেলায় যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে, ডেন্টিস্ট যখন চেম্বার বন্ধ করে বাড়ি চলে গেছে তখনই দাঁত ব্যথা চরম আকৃতি ধারণ করে। তখন সকাল পর্যন্ত ব্যথা সহ্য করা ছাড়া উপায় থাকে না। আর এই শীতে তো দাঁতের ব্যথা বেড়েও যায় অনেক গুণে। অনেকে পেইনকিলার খেয়ে বসে থাকেন, যদিও পেইনকিলার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। জানেন কি, আপনার রান্নাঘরে পড়ে থাকা কিছু উপাদান দিয়ে আপনি তৈরি করে নিতে পারেন একদম প্রাকৃতিক এবং কার্যকরী কিছু পেইনকিলার। দাঁতে ব্যথা হলে ডেন্টিস্ট দেখাতে হবে অবশ্যই, কিন্তু তার আগ পর্যন্ত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই ঘরোয়া ওষুধগুলো কাজ করে জাদুর মতো!

বিজ্ঞাপণ

১) লবণ পানি
– একেবারে সাধারণ এবং প্রচলিত এই প্রক্রিয়া আসলেই কার্যকর। এক গ্লাস গরম পানিতে বেশি করে লবণ গুলে কুলকুচি করুন যতক্ষণ সম্ভব। দাঁতের ব্যথার কারন হিসেবে যদি কোনও জীবাণু থেকে থাকে তবে তা দূর হবে। এছাড়াও মাড়িতে রক্ত চলাচল ভালো করে দেয় এবং সাময়িকভাবে দাঁত ব্যাথা কমে আসে। তবে এই লবণ পানি খেয়ে ফেলবেন না যেন। কুলকুচি করে ফেলে দেবেন।

২) লবঙ্গ
– যে দাঁতটা ব্যথা করছে, তার ওপরে বা পাশে (যেখানে ব্যাথা) একটা লবঙ্গ রেখে দিন। মাড়ি আর দাঁতের মাঝে বা দুই চোয়ালের মাঝে এই লবঙ্গ চেপে রাখতে পারেন যতক্ষণ না ব্যথা চলে যায়। লবঙ্গের তেল ব্যবহার করতে পারেন তবে দুই-এক ফোঁটার বেশি নয়। লবঙ্গ গুঁড়োর সাথে পানি বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করেও লাগাতে পারেন।

৩) আদা
– এক টুকরো আদা কেটে নিন এবং যে দাঁতে ব্যথা করছে সে দাঁত দিয়ে চিবাতে থাকুন। যদি চিবাতে বেশি ব্যথা লাগে তাহলে অন্য পাশের দাঁত দিয়ে চিবিয়ে যে রস এবং আদার পেস্ট তৈরি হবে সেটা ওই আক্রান্ত দাঁতের কাছে নিয়ে যান। জিহ্বা দিয়ে একটু চেপে রাখুন দাঁতের কাছে। কিছুক্ষণের মাঝেই ব্যথা চলে যাবে।

৪) রসুন
– এক কোয়া রসুন থেঁতো করে নিয়ে দাঁতের ওপর লাগিয়ে রাখুন। রসুনের সাথে একটু লবণও মিশিয়ে লাগাতে পারেন।

৫) পেঁয়াজ
– টাটকা এবং রসালো এক টুকরো পেঁয়াজ কেটে নিয়ে সেটা আক্রান্ত দাঁতের ওপর চেপে রাখুন। পেয়াজের রসটা উপকারে আসবে।

৬) মরিচ
– হ্যাঁ মরিচ। শুকনো মরিচের গুঁড়ো দিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাঁতের ওপরে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে মরিচের ভেতরে থাকা উপাদান আপনার দাঁতের ওই ব্যাথাকে অবশ করে দেবে। গোলমরিচের গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন।

৭) বেকিং সোডা
– একটা কটন বাড একটু পানিতে ভিজিয়ে নিন। এর মাথায় অনেকটা বেকিং সোডা লাগিয়ে নিয়ে আক্রান্ত দাঁতের ওপরে প্রয়োগ করুন। আরেক ভাবেও বেকিং সোডা ব্যবহার করা যায়। এক চামচ বেকিং সোডা এক গ্লাস গরম পানিতে গুলিয়ে সেটা দিয়ে কুলকুচি করে ফেলুন।

মনে রাখবেনঃ
আপনার দাঁত ব্যথা করছে তার মানে নিশ্চয়ই দাঁতের ভেতরে কোনো সমস্যা আছে এবং অবশ্যই ডেন্টিস্টের সাহায্য ছাড়া সে সমস্যার থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না। ঘরোয়া এই প্রতিকারগুলো আপনাকে কিছুটা সময়ের জন্য ব্যথা থেকে মুক্তি দিচ্ছে বলেই ডাক্তার দেখানোর কথাটা ভুলে যাবেন না যেন। বিশেষ করে যদি মাড়ি ফুলে যায় তবে বুঝতে হবে ইনফেকশন হয়ে গেছে এবং অতি সত্তর ডেন্টিস্টের সাথে দেখা করুন।

দাঁতের অত্যাধিক যন্ত্রণায় সাময়িক ইউনানী ঔষধ Rhemex. অ্যালোপ্যাথি ঔষধ  Tab. Torry 90. গ্যাষ্ট্রিক আলসার থাকলে সাথে গ্যাষ্ট্রিকের Maxpro/peptisid ঔষধ খাবেন।

ব্যথা কমে গেলে পরবর্তীতে দাঁতের চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করবেন, যাতে ইনফেকশন হয়ে থাকলে চিকিৎসক প্রয়োজন অনুসারে আপনাকে পরিপূর্ণ চিকিৎসা দিয়ে  রোগমুক্তিতে সহায়তা করতে পারেন।

হাকীম মুহাম্মদ মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)

মুঠোফোন 88 01762240650

( যোগাযোগ : সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ১টা এবং দুপুর ৪টা থেকে রাত ৮টা, নামাজের সময় ব্যতীত)

শ্বেতী, যৌনরোগ, হার্পিস, পাইলস, ডায়াবেটিস,  অ্যালার্জি, লিকুরিয়া, ব্রেনস্ট্রোক, হার্ট ও শিরার ব্লকেজ, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক, চর্মরোগ, ক্যান্সার, আইবিএস, বাত বেদনা,  জন্ডিস, লিভার সমস্যাস্ত্রী রোগ, আইবিএস, গাউট, পক্ষাঘাত, , স্বপ্নদোষ নিরাময়-সহ সর্বরোগের চিকিৎসা করা হয়।

Loading

শেয়ার করুন

Leave a Reply