মতলব উত্তরে আখের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি
সফিকুল ইসলাম রানা, মতলব উত্তর করেসপন্ডেন্ট :
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প। এ মৌসুমে আখের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি। চাঁদপুরের মতলব উত্তরের আখ খুবই সুস্বাদু। ফলে এখানকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা নারায়নগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আখ পাইকারী ও খুচরা বিক্রয় করা হয়। মতলব উত্তরে এ বছর চিবিয়ে খাওয়া আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাওয়া তাদের মুখে হাসি।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে ১ শত ৫০ হেক্টর জমিতে আখের চাষ করা হয়। এতে স্থানীয়, দেশী, উন্নত জাত সহ প্রায় ৬টি জাতের আখের আবাদ করা হয়েছে। মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের উঁচু জমি গুলোতে পলি ও দোঁ আশ মাটির পরিমান বেশি থাকায় প্রতি বছরই ফলন ভাল হয়। এ বছর ও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ ছাড়া চাহিদার তুলনায় মূল্য বেশি পাওয়াতে কৃষকের মুখে হাসি। মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের কলাকান্দা, হানিরপাড়, বৈদ্যনাথপুর, ছোট হলদিয়া, পাঁচআনী, বড় হলদিয়া, নিশ্চিন্তপুর, নান্দুরকান্দি, বেগমপুর, সরদার কান্দি, ওটারচর, বলাইরকান্দি, ইন্দুরিয়া ইসলামাবাদ এলাকা সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা আখ তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। এলাকার পাইকারী ক্রেতা ছাড়াও ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, দাউদকান্দি, চাঁদপুর থেকে অনেক পাইকার ক্রেতা এসেছে আখ কিনতে।
নারায়নগঞ্জ থেকে আগত পাইকার মজিবুর রহমান জানান, এ অঞ্চলের আখ মিষ্টি হওয়ায় আখের অনেক চাহিদা রয়েছে। প্রতিটি আখ পাইকারী ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মতলব উত্তরের নান্দুরকান্দি গ্রামের ইয়াছিন জানান, তিনি ২৬ শতক জমিতে আখ চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। তিনি আখ বিক্রি করেছেন ১ লাখ টাকা।
একই গ্রামের আবুল কাশেম ভান্ডারী জানান, তিনি ৩৬ শতক জমিতে আখ চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ৪২ হাজার টাকা। তিনি আখ বিক্রি করেছেন ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজার, আনন্দ বাজার, বহমুখী বাজার, সুজাতপুর বাজার, সটাকী বাজার, কালিপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে খুচরা আখ ব্যবসায়ী দের কেনা বেচায় ধুম পেড়েছে। ভাদ্রের প্রচন্ড রৌদ্রে আখের রস পান করে তৃষ্ণা মিটাচ্ছে। সেই সাথে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সালা উদ্দিন জানান, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে এ বছর স্থানীয় চাঁদপুর গেন্ডারী -১০০, মিশ্রিমালা, অমৃত, ঈশ্বরদী-১ ও ঈশ্বরদী-২ জাতসহ ৬টি জাতের আখ চাষ করা হয়েছে। তিনি জানান, আখের রোপন থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত ৬ থেকে ৮ মাস সময় লাগে। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন রোগবালাই থেকে কৃষকরা যেন তাদের ফসল বাঁচাতে পারে সেজন্য যথাসময়ে কৃষি অফিসের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফলন ভাল হওয়ায় আখ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।
আপডেট : বাংলাদেশ সময় ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার
চাঁদপুর রিপোর্ট : এমআরআর
নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক দিন এবং শেয়ার করুন …
51 সর্বমোট পড়েছেন, 1 আজ পড়েছেন