‘পা নড়া, কথাবার্তা বলার চেষ্টা করছেন ওবায়দুল কাদের ‘
চাঁদপুর রিপোর্ট ডেস্ক :
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে তাঁর চিকিৎসক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিওলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী হাসান বলেছেন, ‘২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা না যাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। এখনো উনি ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন। উনার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে আমি দোয়া প্রার্থনা করছি।’
আজ রোববার বিকেলে বিএসএমএমইউর মিল্টন হলে ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থা জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সৈয়দ আলী হাসান। তিনি বলেন, ‘চোখ খুলছেন কিন্তু এখনো ক্রিটিক্যাল স্টেজেই আছেন।’
বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যখন তাঁর (ওবায়দুল কাদের) কাছে এসে ডাকলেন, তিনি চোখ মিটমিট করে তাকাচ্ছিলেন। আর রাষ্ট্রপতি যখন ডাকলেন তিনি চোখ বড় করে তাকিয়ে ছিলেন। আমাদের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম যখন ডাকলেন তখনো তিনি কিন্তু চোখ খুলে তাকিয়ে ছিলেন।’

এছাড়াও শ্বেতী রোগ, ডায়াবেটিস, অশ্ব (গেজ, পাইলস, ফিস্টুলা), হার্টের ব্লকেজ, শ্বেতপ্রদর, রক্তপ্রদর ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে সৈয়দ আলী হাসান বলেন, ‘এই অবস্থায় চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠালে স্ট্যাবিলিটি আনস্ট্যাবল হয়ে যেতে পারে। প্লেনের জার্নিটা কী হবে? যারা নিতে আসবে তারা এসে যদি মনে করে তাদের অ্যাম্বুলেন্স, ম্যান পাওয়ার সবকিছু স্ট্যাবল আছে তাহলে তারা নিতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যদি প্রয়োজন মনে না করি কিংবা যদি মনে করি তাকে পাঠানো হলে অবস্থার অবনতি হতে পারে তাহলে তাকে পাঠানো হবে না।’
এই চিকিৎসক বলেন, ‘তারপরও বাইরে থেকে যদি কেউ চিকিৎসার জন্য আসেন তাহলে আমরা দেখব তাদের প্রয়োজনীয় লোকবল, এক্সপার্টিজ সবকিছু আছে কি না। এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের কন্ডিশনও বিবেচনায় আনতে হবে। আকাশে অবস্থা খারাপ হলে সাপোর্ট দিতে পারবে কি না, সেটাও বিবেচনায় আনতে হবে। সব কিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
কার্ডিওলজি বিভাগের এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘উনার (ওবায়দুল কাদের) রাত সাড়ে তিনটার দিকে অ্যাটাকটা হয়। উনার বাসা থেকে আমাদের এখানে কল করা হয়। তখন আমাদের একজন ডাক্তার উনার বাসায় যায় এবং উনার অবস্থা দেখে নিজে ড্রাইভ করে সরাসরি আইসিসিইউতে ভর্তি করান। আমি যখন কল পাই তখন সকাল ৮টা।’
ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে সৈয়দ আলী হাসান বলেন, ‘দুই ঘণ্টা উনি খুব ভালো ছিলেন। তারপর দেখা গেল, প্রেসার আবার কিছুটা কমে যাচ্ছে। আবারও কিছুক্ষণ পর ওঠে। অনেক রকম প্রবলেম দেখা দিল। তখন আমরা সবাই মিলে পরামর্শ করে ঠিক করলাম যে, আইবিপিপি প্রতিস্থাপন করব। এই যন্ত্র প্রেসারকে মেইনটেইন করে। সেটা দেওয়ার পরে হোমোডেকাইনামিলি স্ট্যাবল আছেন। চোখ খুলছেন, কথা বলছেন কিন্তু এখনো ক্রিটিক্যাল স্টেজেই আছেন। উনি পা নড়ার চেষ্টা করছেন। কথাবার্তা বলার চেষ্টা করছেন। এখন এই অবস্থায় আছেন উনি।’
প্রকাশিত : ০৩ মার্চ ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ, রোববার
56 সর্বমোট পড়েছেন, 1 আজ পড়েছেন