রায়পুরে মামলা প্রত্যাহার না করায় বাদীকে মারধর
ইমরান হোসেন সজীব, রায়পুর প্রতিনিধি:
ল²ীপুরের রায়পুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মো. আলী জিন্নাহ নামে এক আইনজীবির সহকারীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। আদালতে দায়ের করা মামলা তুলে নিতে আসামি নাঈম হোসেন শুক্রবার রাতে উপজেলার চরকাচিয়া গ্রামে সিএনজি স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটায়। শুক্রবার রাতে জিন্নাহ স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত নাঈম উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরলক্ষী গ্রামের ইদ্রিছ আলী মাঝির ছেলে।
অভিযোগে জানা যায়, নাঈম হোসেনসহ তার লোকজন ল²ীপুর জজ আদালতের আইনজীবি সহকারী জিন্নাহর স্ত্রী পারভিন আক্তারের কেনা জমি দখলে নিতে পাঁয়তারা করে আসছে। বাড়িতে থাকতে হলে তাদেরকে একলাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে দাবি করা হয়।
এ ঘটনা নিয়ে আদালতে দুইটি মামলা চলছে। এদিকে দাবি করা টাকা না দেওয়ায় ১০ ফেব্রæয়ারি নাঈমের লোকজন জিন্নাহর ঘরের পাশে থাকা একটি করই গাছ কাটতে আসে। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। এর কয়েকদিন পর তারা পারভিনকে বাড়িতে একা পেয়ে গাছ কাটতে আসে। এতে বাধা দিতে গেলে তাকে (পারভিন) পিটিয়ে আহত করা হয়। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে প্রতিবেশি শামছুন্নাহার ও রুবিনা ইয়াছমিনকেও মারধর করা হয়। পরে তারা জোরপূর্বক ওই গাছটি কেটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জিন্নাহ বাদী হয়ে ১৯ ফেব্রæয়ারি জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী অঞ্চল রায়পুর আদালতে নাঈমকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মো. আলী জিন্নাহ বলেন, আমার স্ত্রী ও প্রতবেশি দুই নারীকে মারধরের ঘটনায় নাঈমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি। মামলাটি প্রত্যাহার করতে তারা বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি, ধমকি দিয়ে আসছে। এটি প্রত্যাহার না করায় নাঈম আমাকে মারধর করেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে নাঈম হোসেন বলেন, জিন্নাহ মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছে। কেন মামলা করা হয়েছে এটি জিজ্ঞাস করেছি। তবে তাকে মারধর করা হয়নি। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমাদের বিষয়টি সমাধান করে দিবেন।
এ ব্যাপারে হাজিমারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন চাঁদপুর রিপোর্টকে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় মামলা চলছে। জিন্নাহকে মারধরের ঘটনাটি আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হলে প্রয়োজনীয় আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশিত : ০২ মার্চ ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার
49 সর্বমোট পড়েছেন, 1 আজ পড়েছেন