১৩ বছর পর সন্তান জানল লোকটি তার বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক বরিশাল

বরিশাল সদর উপজেলার লামছড়ি এলাকার এক নারীকে (৩২) ধর্ষণের দায়ে আবু বক্কর ছিদ্দিক (৩৮) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে ধর্ষণে জন্ম নেয়া শিশুর ২১ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার রাষ্ট্রকে বহন করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে শিশুটির ভরণ-পোষণ নির্ধারণ করে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির অর্জিত সম্পদ থেকে আদায়ের জন্য রাষ্ট্রকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

হাকীম মিজানুর রহমান
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার, যোগাযোগ করুন : (সকাল ১০টা থেকে রাত ০৮ টা (নামাজের সময় ব্যতীত) +88 01762240650, +88 01777988889
এছাড়াও শ্বেতী রোগ, ডায়াবেটিস, অশ্ব (গেজ, পাইলস, ফিস্টুলা), ব্লকেজ, শ্বেতপ্রদর, রক্তপ্রদর ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়।
পাশাপাশি শিশুটি তার মা অথবা বাবা কিংবা উভয়ের পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার অধিকার রাখে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আবু বক্কর ছিদ্দিক আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল।
দণ্ডপ্রাপ্ত আবু বক্কর ছিদ্দিকের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার লামছড়ি এলাকায়। ধর্ষণের শিকার ওই নারী আবু বক্কর ছিদ্দিকের প্রতিবেশী। ধর্ষণে জন্ম নেয়া শিশুটির বয়স বর্তমানে ১৩ বছর।
বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. আজিবর রহমান বলেন, আবু বক্কর ছিদ্দিক তার প্রতিবেশী ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ওই নারী রাজি না হওয়ায় ২০০৫ সালের ১৩ মে ধর্ষণ করে আবু বক্কর ছিদ্দিক। ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই নারী। ২০০৬ সালে ছেলে সন্তান জন্ম দেন ওই নারী। ওই সন্তানের ভরণ-পোষণ ও পিতৃত্ব দাবি নিয়ে গেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক তা অস্বীকার করে এবং ওই নারীকে তাড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ২০০৬ সালের ১৬ জানুয়ারি ওই নারী বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলার অভিযোগ তদন্তের জন্য কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই শিশির কুমার পাল ২০০৬ সালের ১২ মার্চ আবু বক্কর ছিদ্দিককে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত রায় দেন।
প্রকাশিত: ০৬:৩৬ পিএম, ২৬ জুন ২০১৯
85 সর্বমোট পড়েছেন, 1 আজ পড়েছেন
