হরমুজ প্রণালিতে দ. কোরিয়ার দস্যুবিরোধী সৈন্য মোতায়েন

চাঁদপুর রিপোর্ট ডেস্ক :
তেলবাহী ট্যাঙ্কার ও জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে হরমুজ প্রণালিতে দস্যুবিরোধী সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির সামরিক বাহিনীর এই শাখা হরমুজ প্রণালি হয়ে আফ্রিকা উপকূলগামী তেলবাহী যানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।

গত বছর হরমুজ প্রণালিতে তেলবাহী ট্যাঙ্কারে ইরানের হামলার পর ওই অঞ্চলে সামুদ্রিক সুরক্ষা মিশনে যোগ দেয়ার জন্য মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রধান মিত্র হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া আরব উপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মোতায়েনকৃত নৌবাহিনীর দস্যুবিরোধী শাখাকে হরমুজ প্রণালীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে।
আরব উপসাগরে মোতায়েনকৃত এই সামরিক শাখাকে হরমুজ প্রণালিতে ফিরিয়ে আনার ঘটনায় দেশটির সংসদের অনুমতি নিতে হবে না। কারণ আরব উপসাগরে মোতায়েনের সময় সংসদের অনুমতি নেয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হরমুজ প্রণালিসহ উপসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর দস্যুবিরোধী শাখার সদস্যদের মোতায়েন করবে দক্ষিণ কোরিয়া। তবে আন্তর্জাতিক সামরিক জোটের অংশ হিসেবে এই ইউনিট মোতায়েন করা হচ্ছে না।
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, সাময়িকভাবে চিওনহি সামরিক শাখার মোতায়েন সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। এর ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক ও তেলবাহী যানের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, চিওনহি সামরিক শাখা তাদের মিশন অব্যাহত রাখবে। পাশাপাশি জোটের সামরিক বাহিনীকেও সহযোগিতা করবে।
দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, হরমুজ প্রণালিতে সামরিক বাহিনীর দস্যুবিরোধী শাখার সদস্য মোতায়েনের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানকে জানানো হয়েছে। আফ্রিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উপসাগরীয় অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বন্দরে দস্যুবিরোধী চিওনহি শাখা মোতায়েন রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এডেন বন্দরে ২০০৯ সাল থেকে মোতায়েন রয়েছে সিউলের এই বাহিনী।
২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর এক নথিতে দেখা যায়, এডেন বন্দরে মোতায়েনকৃত চিওনহি ৩০২-স্ট্রং ইউনিটের কাছে ৪ হাজার ৫০০ টনের একটি ডেস্ট্রয়ার, একটি সাবমেরিন বিধ্বংসী লিনক্স হেলিকপ্টার, তিনটি স্পিড বোট রয়েছে। ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি তেলবাহী জাহাজ দস্যুদের কবলে পড়লে অভিযানে যায় চিওনজি শাখা। ওই অভিযানে সন্দেহভাজন আট জলদস্যুকে গুলি চালিয়ে হত্যা ও পাঁচ জলদস্যুকে আটক করা হয়।
প্রকাশিত :২০ জানুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার :
চাঁদপুর রিপোর্ট : এস এস
42 সর্বমোট পড়েছেন, 1 আজ পড়েছেন
