ফরিদগঞ্জে কৃষকদের সাথে প্রতারণা : চর ইজারা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি:
র্দীঘদিন প্রতারনার শিকার হয়ে অবশেষে জমির মালিক ও কৃষকরা ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার মিরপুরচর ইজারা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।

অবৈধ ভাবে চর দখল করে রাখার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে কৃষকরা। ১বছরের কথা বলে কৃষকদের কে বোকা বানিয়ে তিন বছর দখলে রাখেনে ইজারাদাররা। তার মাঝে ইজারার টাকাও কৃষকদের মাঝে বন্টন না করে নিজে একাই ভোগ করেন চর ইজারা কমিটির সভাপতি রসুল আমিন আরিফ এমটাই অভিযোগ করেন কৃষক ও জমির মালিকরা।
এত করে চর ইজারার টাকা আত্যসাত ও প্রতারনা কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে চর ইজারা না দেওয়ার শিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এদিকে উল্টো আরো বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা কৃষকদের গাঁড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে কমিটির সভাপতি রসুল আমিন আরিফ। এমতাবস্থায়া কৃষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে ক্ষুব্দ কৃষকদের তোপের মুখে টিকতে না পেরে রসুল আমিন আরিফসহ তার অনুসারীরা দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
শুক্রবার বিকেলে পৌরসভার মিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে চর ইজারা নিয়ে এক বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বৈঠকে এমটাই অভিযোগ করেন জমির মালিক ও কৃষকরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র মাহাফুজুল হক।
জমির মালিক ও কৃষক মোশারফ হোসেন রুনু, জহিরুল ইসলাম ,জয়নাল পাটওয়ারী, মোস্তফা কামাল , শাহ আলম, নান্নু আটিয়া, শাহ আলম বরকন্দাজ ও খাজে আহাম্মেদ তালুকদার বলেন, চর ইজারা সম্পর্কে আমরা জানি চর এক বছর ইজারা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সভাপতি গোপন সমোজতার মাধ্যেমে তা বাড়িয়ে তিন বছর করেছে। তিন বছর ইজারা বিষয়ে মিরপুর গ্রামে কৃষকদের সাক্ষর জাল করে এই কাজ করা হয়েছে। এখন উল্টো তিন বছরের টাকা না দিয়ে কৃষকের ঘাড়ে ১২ লক্ষ টাকা ঋনের বোজা চাপানোর চেষ্ঠা করছে সভাপতি। তারা আরো বলেন, মিরপুর চরে গত তিন বছরের মধ্যে কোন হিসাব দেওয়া হয়নি।
ইজারাদার কামাল মিজি বলেন, আমরা প্রকৃত টাকা রসুল আমিন আরিফের কাছ থেকে তিন বছরের জন্য চর ইজারা নিয়েছি। আমাদের কাছথেকে টাকা নিয়ে তারা ভেড়ি বাঁধ সংস্ককার করেন।
কমিটির সভাপতি রসুল আমিন আফির বলেন, চর যেই টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। তার ছেয়ে বেশি টাকার কাজ করা হয়েছে।
44 সর্বমোট পড়েছেন, 1 আজ পড়েছেন
