হাজীগঞ্জে করোনা সনাক্তের অভিযোগে কাজী ভিলা লকডাউন করলেন ইউএনও

জহিরুল ইসলাম জয় :

হাজীগঞ্জে এ প্রথম করোনা রোগী সনাক্তের অভিযোগে কাজী ভিলা নামে একটি ভবনকে লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন।
গত ২৭ এপ্রিল হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পজেটিভ হওয়া রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করে।
করোনায় আক্রান্ত ৩৭ বছর বয়সী ওই যুবকের বাড়ি হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত দুই সপ্তাহ আগে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। এখনো তিনি নিজ বাড়িতে আছেন। তিনি ইসলামী ব্যাং হেড অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সোয়েব আহম্মেদ চিশতী বলেন, গত ২৭ এপ্রিল করোনা উপসর্গ সন্দেহে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। আজ তার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ (বুধবার) ডাক্তার তার বাড়িতে যেয়ে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিবেন ওই যুবক হাসপাতালে নাকি বাসায় চিকিৎসা নিবেন।
এদিকে ভবনের মালিক কাজী বেলালকে তার ভবনের ব্যাংকসহ সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া।
তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে একি দিন করোনার খবর শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লকডাউন ঘোষনা করতে আসেন কিন্তু তিনি নিজেই যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তা প্রকাশে সবাই হতবাক।
41 সর্বমোট পড়েছেন, 1 আজ পড়েছেন
