matlab logo

মতলব উত্তরে জনস্বার্থে কাজ করতে গিয়ে ইউপি সদস্য জেলে : এলাকায় তোলপাড়

মতলব উত্তর প্রতিনিধি :

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১০ নং ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৪০ দিনের কর্মসূচি কাজ বাস্তবায়ন হয়। কাজটি ঠেটালীয়া নোয়াবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হইতে ফতেপুর পাকা সড়ক সংলগ্ন মসজিদ পর্যন্ত সম্পাদন করা হয়। ওই কাজের পিআইসি ৭ নং ওয়াড ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন।

সম্প্রতি ওই কাজটি করতে গেলে স্হানীয় যুবলীগ নেতা আবু হাসানাত গং এসে সরকারি কাজে বাধা প্রধান করলে জনগণ তাদের ধাওয়া করে কাজ সম্পাদন করেন।

কাজ শেষ হলে হাসানাত গং রাতের আঁধারে গভীর রাতে বহিরাগত লোক এনে সরকারি রাস্তা কেটে ফেলে।

এ ব্যাপারে এলাকায় তুমূল উত্তেজনার ঝড় উঠে এবং এলাকাবাসী ও হাসানাথ গংয়ের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।

এ ব্যপারে গ্রাম পুলিশ হাসানাতকে জিজ্ঞেস করতে গেলে গ্রাম পুলিশকে বেধড়ক মারধর করে বলে জানান গ্রাম পুলিশ খোকন।

গ্রাম পুলিশ খোকন জানান, যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে এখানে তো কোনও মহিলা ছিল না। এখানে দেখা যায়, স্হানীয় যুবলীগ নেতা আবু হাসানাত এর ওয়াইফ নিলুফা বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর কোর্টে ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেনসহ ক’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

আলমগীর গং ও হাসানাত গংয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেন। নিঃস্বার্থভাবে জনস্বার্থে কাজ করতে গিয়ে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং ১০ আগষ্ট ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে আদালত এ জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধিকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করে।

এ ব্যাপারে ১০ আগষ্ট বিকালে ১০ নং ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরীসহ বাকী সদস্যরা প্রতিবাদসভার আয়োজন করেন।

সভায় চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সকল সদস্য ও চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা গ্রাম হবে শহর। এ আলোকে বাংলাদেশ সরকার গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন করার লক্ষ্যে জনসাধারণের সমস্যা লাঘব করার জন্য ওই এলাকায় একটি কাঁচা রাস্তা নির্মাণ করা হয়। জনস্বার্থে কাজ করতে গিয়ে যদি জেলহাজত খাটতে হয়, তাহলে চেয়ারম্যান, মেম্বারদের পদত্যাগ ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। মানুষ যখন অন্যায়-অত্যাচার করে তখন জেল জরিমানা যা কিছু করার তা-ই হোক কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি, যে এলাকায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত ইউ সদস্য । তিনি ওই এলাকার সর্বোচ্চ ব্যক্তি। কিছুসংখ্যক অসাধু ব্যক্তি, চাপাবাজ, দালাল, যারা সকালে একটা বলে, বিকালে আরেকটা বলে ওই সমস্ত মোনাফেকের লোকেরা প্রতিপক্ষ হাসানাতের সাথে আঁতাত করে একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে, একজন জন প্রতিনিধিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে অপমানিত করেছে। এ ষড়যন্ত্রকারীদের এবং মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্যে রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আজমল হোসেন চৌধুরী, ইউপি মহিলা সদস্য তোলা মতি, মর্জিনা বেগম, তাহমিনা আক্তার নিপা, সাধারণ ইউপি সদস্য শফিকুল আজম, গোলাম নবী খোকন, বোরহান মৌলভী, আঃ কাদের জিলানী, আঃ হালিম সরকার, কাজী মোস্তাক, মনজুর আহমেদ, খোরশেদ আলম প্রমুখ।

 79 সর্বমোট পড়েছেন,  1 আজ পড়েছেন

শেয়ার করুন