bma chandpur

চাঁদপুর জেলা বিএমএ’র মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির ৪ বছর পার, নির্বাচনের ৬ বছরেও হয়নি কোন সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রায় ৪ বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতে চলছে চিকিৎসকদের সংগঠন-বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)’ চাঁদপুর জেলা শাখা।

এ অবস্থায় দ্রুত নির্বাচন চান চিকিৎসকরা। আবার সময় মতো নির্বাচন না হওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে অনেকেরই মধ্যে।

বিএমএ’র চাঁদপুর জেলা শাখার সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর।

দীর্ঘদিন পর ডাক্তারদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচনে চিকিৎসকরা ভোটের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচিত করেছিলেন।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু নানা কারণে সেটি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বিএমএ সদস্যরা। গত নির্বাচনে বিএমএ’র ভোটার ছিলেন ২’শ ৫০ জনের মতো। এখন সেটি দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৪’ শ জনের মতো।

নির্বাচনের পর ৬ বছর অতিবাহিত হলেও হয়নি কোন সভা ও নিজস্ব কার্যালয়, ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবায় নেই কোন ভূমিকা। অভিযোগ রয়েছে নির্বাচিত ডাক্তাররা কর্মস্থলে আসছেন না নির্ধারিত সময়ে, যাচ্ছেন ইচ্ছেমত। এজন্য সাধারণ চিকিৎসকরা যারা নিয়মিত আসছেন বিএমএ নেতারা তাদেরকেও তদারকি করতে পারছেন না।

বিএমএ’র নির্বাচনের পরে গত ৬ বছরে শুধুমাত্র পবিত্র রমজান মাসে ইফতার মাহফিল করতে দেখা গিয়েছিল বিএমএ’র নেতৃবৃন্দকে। এছাড়া আর কোন কার্যক্রমে দেখা মেলেনি চিকিৎসকদের এই সংগঠনের। অথচ নির্বাচনের পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে চিকিৎসা সেবায় কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সংগঠনটির নেতারা।

বিএমএ চাঁদপুর জেলা শাখার মধ্যে বিরোধ রয়েই গেছে। শুধু বিএমএ নিয়েই নয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কমিটি নিয়েও বিরোধ রয়ে গেছে। কারণ বিএমএ ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখা মূলত মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।

এদিকে নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হলেও ভোট গণনার সময়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ার কারণে চিকিৎসকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা চাঁদপুর জেলা বিএম এর নির্বাচনের দাবি জানান।

এবার সাধারণ ভোটাররা বিএমএ কমিটি তৈরিতে পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন। তারা জানান কারো কাছে এককভাবে দীর্ঘদিন কমিটি নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব দেয়া হবে না। কমিটির হিসাব নিকাশ ও ডাক্তারদের প্রয়োজনে তাদের শক্তিশালী ভূমিকা প্রদর্শন করা হবে নেতা নির্বাচনে। এই নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যে ডাক্তারদের আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। তাই পেশাজীবী সংগঠন বিএমএতে যোগ্য নেতৃত্ব চাই, যে নেতৃত্ব সাধারণ চিকিৎসকদের সম্মান, যোগ্যতা ও নিরাপত্তার জন্য সংগ্রাম করবেন। সে নেতৃত্ব চিকিৎসক সমাজের মর্যাদা ও অধিকার আদায় এবং জনস্বাস্থ্য সংকট নিরসনের সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএমএ’ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এন হুদাকে কয়েকদফা ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করে বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং ফোন কেটে দেন।

উল্লেখ্য, অভিযোগ রয়েছে প্রায় ৪ বছর ধরে বিএমএ চাঁদপুর জেলা নির্বাচন হচ্ছে না। দীর্ঘদিন যাবৎ সভাপতি পদে ডা. এম এন হুদা ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহমুদুনন্নবী মাসুম রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। অনেক কর্মকান্ডে ডাক্তারদের অ্যাসোসিয়েশনকে বিতর্কে জড়ানো হয়েছে।

বিএমএ শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ নিজের ব্যক্তিগত প্র্যাকটিস ও ব্যবসার প্রসারে পদ পদবীকে ব্যবহার করা ছাড়া সাধারণ চিকিৎসকদের তেমন কোন কাজে আসেনা, তাই পরিবর্তন করে কমিটিকে শক্তিশালী করতে এবার ভোটারদের একটিই স্লোগান ‘পরিবর্তন করো পরিবর্তন চাই’।

 37 সর্বমোট পড়েছেন,  1 আজ পড়েছেন

শেয়ার করুন