প্রবাসে একমাত্র ছেলের মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, হত্যার অভিযোগ স্বজনদের

সফিকুল ইসলাম রানা :

দুমোঠো ভাত আর সংসারের চাকা সচল করতে দেশ থেকে বিদেশে পাড়ি জামান অনেকে। তাদেরই মত একজন বাবু মিয়া, বয়স ৩৭। সে মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার জীবগাও গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে, থাকেন মলোয়শিয়া।

প্যানাঙ্গ শহরের সোলেমান সাদ কোম্পানিতে চাকরি করতেন প্রায় ৭বছর ধরে। ঐ কোম্পানির সুপার ভাইজার হিসেবে কাজ করেন একই উপজেলার মুক্তির কান্দি গ্রামের তোফাজ্জল সর্দারের ছেলে মেহেদী হাসান রনি সর্দার ওরফে মিঠু । গত ১৫ মে ঐখানে বাবুর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর তথ্য গোপন, বকেয়া টাকার দাবী, চিকিৎসার টাকা দাবী ও লাশ ফেরত পাঠাতে নানা জটিলতার কারনে পরিবারের লোকজনরা মনে করছে বাবুকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত প্রবাসী বাবুর পিতা হারুনুর রশিদ বলেন, এক মাস পূর্বে বাবু রনিকে বলেছিল ভাই আমি একবারে দেশে চলে যাবো, আর চাকুরি করবো না। বাড়ি গিয়ে বিয়ে করে সংসার করবো। আমার সমস্ত পাওনা দেনার হিসাব আমাকে বুঝাইয়া দেন।

এর পর থেকেই রনি বাবুকে নিয়ে নানা রকম প্রতারনা শুরু করেছে। কোন হিসাবপত্র দেয়না। বাবুর অসুখের কথা বলে বাড়ি থেকে ২লক্ষ টাকা আনতে চাপ দেয়, টাকা না দিলে লাশ নদীতে ফেলে দিবে বলে হুমকি দেয়।

বাবুর মা মায়মুননেছা বলেন, আমি ভিডিও কলে আমার ছেলের সাথে কথা বলেছি, ছেলে আমার সুস্থ ছিল। ছেলে বলেছে তার চিকিৎসার নামে তার শরীর থেকে সব রক্ত বের করে নিয়ে গেছে। তাকে অপারেশন করা হয়েছে। কিন্তু কি সমস্যা কি অপারেশন করা হয়েছে তার কোনটাই জানেনা বাবু ও তার পরিবার। বাবুর মা বাবুকে দেশে পাঠাতে বল্লেও রনি দেশে পাঠায়নি। মায়মুননেছা আরো বলেন, আমার ছেলে ১২ বছরের হিসাব চাওয়াতে তার সু কৌশলে আমার ছেলেকে চিকিৎসার নামে মেরে ফেলেছে। আমি এর বিচার চাই।

বাবুর মামা আমিনুল ইসলাম বলেন, ভাগিনার মৃত্যুর খবর শুনে তার লাশ বাড়িতে আনার জন্য প্রবাসী কল্যান মন্তনালয়ের মাধ্যমে আবেদন করি। আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ দেশে আসলেও আমি কিছু জানিনা। বরং প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনায় থেকে অন্য একজনকে ফোন দেয়। আমার প্রশ্ন আমি আবেদন করেছি ও মোবাইল নাম্বার দিলাম অন্য কারো নাম্বার তারা পেলো কথায়? তাছাড়া লাশের সাথে মানিব্যাগ, মোবাইল বা প্রয়োজনীয় তেমন কিছু ছিলনা। এতে বাবুর মৃত্যু নিয়ে আমার সন্দেহ জাগে, হয়তো হিসাব চাওয়ার কারনেই বাবুর এই দশা হয়েছে।

এ বিষয়ে মেহেদী হাসাম রনির ওরফে মিঠুর সাথে একাদিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে, তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার বাবা মা বলেন এটি বিদেশের বিষয়, আমরা কিছু জানিনা।

Loading

শেয়ার করুন