খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আরেক খবর : সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ : আহত ১

গোলাম নবী খোকনঃ

খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আরেক খবর। ঘটনা ঘটেছে মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ৯ নং ওয়াড পূর্ব চরমাছুয়া গ্রামে, যেটি ভাগিনার ছুরির আঘাতে মামা খুন। এ খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আরেক খবর তৈরী হয়েছে, যেটি একই গ্রামের মেঘনা ধনাগোদা বেড়ীবাঁধ সড়কের উপর।

সরজমিনে ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ব চরমাছুয়া গ্রামের মোল্লা বাড়িতে দুপুর সোয়া একটায় ভাগিনার ছুরির আঘাতে মামা খুন হয়। প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ খালেদ হোসেন বয়স (১৪) পিতা স্বপন মিয়া, বাড়ি সিলেট, তিনি চরমাছুয়া গ্রামে ফুফুর বাড়িতে থেকে লেখা পড়া করেন। তিনি ঘটনার সময় সর্বক্ষণ ছিলেন ও বর্ণনা দিয়ে বলেন, খুনি আরিফ (২২), পিতা আনোয়ার হোসেন, গ্রাম পূর্ব চরমাছুয়া বেপারী বাড়ি।

তিনি বলেন, আরিফের মামা মোঃ মানিক মিয়ার স্ত্রী সাথী আক্তারকে ভাগিনা আরিফ মারধর করে। কেন মারধর করা হয়, এ ব্যাপারে মানিক তার দুলাভাই গ্রাম পুলিশ আনোয়ার ও ভাগিনা আরিফকে জিজ্ঞেস করলে বাপ-ছেলে দুজনই মানিক ও মানিকের স্ত্রী সাথীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এক পর্যায়ে মানিকের দুলাভাই আনোয়ার হোসেন তার ছেলে আরিফকে বলে একটা মেরে ফেল।

তার ছেলে আরিফ বলে, বাবা কোনটাকে মারবো মহিলা না পুরুষ? আরিফের বাবা আনোয়ার বলে পুরুষটাকেই মেরে ফেল।

এ কথার পর আর দেরী নয়, মানিক তার এক মাত্র আড়াই বছরের মেয়ে সিনথীয়াকে কোলে করে দাঁড়িয়ে ছিল। আরিফ কোমর থেকে ছুরি বের করেই মানিকের বুকের মধ্যে ঢুকিয়ে দিল। মানিক সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে এলাকাবাসি এসে খুনি আরিফ ও তার মাকে আটক করে বেঁধে রাখে। আর হুকুমদাতা গ্রাম পুলিশ আনোয়ার পালিয়ে যায়।

এর মধ্যে আঘাতপ্রাপ্ত মানিক মিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মানিককে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল এসে নিহতের লাশ ও আটককৃতদের থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।

নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে মতলব উত্তর থানায় মামলা দায়ের করেন।

আসামীরা হলেন ১) আরিফ হোসেন, পিতাঃ আনোয়ার হোসেন গ্রাম পুলিশ, ২) আনোয়ার হোসেন পিতাঃ,,, ৩) লুৎফা বেগম স্বামী, আনোয়ার হোসেন, গ্রাম, পূর্ব চরমাছুয়া, মতলব উত্তর চাঁদপুর।

এ ঘটনার ব্যাপারে একাধিক লোকে বণনা দেন, ৯ নং ওয়াড চরমাছুয়া গ্রামের মেম্বার সালাউদ্দিন, আরমান ফকির, আবু হানিফ মিজি, কবির হোসেন মিজি, সানাউল্লাহ মিজি সহ নিহতের স্ত্রী সাথী আক্তার।

ওই সময় নিহতের স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস বাড়ি হয়ে যায় আর মানুষের উপচেপড়া ভিড় হয়। তবে এলাকাবাসি জানান, খুনি আরিফ ও তার বাবা গ্রাম পুলিশ আনোয়ার তারা নেশাখোর ও খারাপ প্রকৃতির লোক। তাদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ, অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি জানান এলাকা বাসি।

এ খবর তৈরী করতে না করতেই শোনা যায় আরেক খবর। একই দিন বিকালে দু’জন মোটর সাইকেল আরোহী বেড়ীঁবাধঁ দিয়ে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিক চরমাছুয়ার গ্রামের কাছে আসলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনই মারাত্ত্বক আহত হয়।

যেটা প্রতক্ষ্যদর্শীর অভিমত, মোটর সাইকেল আরোহী একজন ঘটনাস্থলেই মারা যায়, দু’জনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জুবায়ের আহমেদ আশিক (২৭) পিতা জাহাঙ্গীর আলম মতলব পৌর সভার পৈলপাড়া গ্রাম ২ নং ওয়াড,তাকে মৃত ঘোষণা করেন ও মারাত্মক আহত নেছার, পিতা, রায়হানুলহক একই গ্রাম, তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ মোটরসাইকেল আরোহী দু’জনের খবর প্রথমে কেহ জানতো না, এ ঘটনার খবর মতলব উত্তর থানা পুলিশকে জানালে, থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মোটর সাইকেল থানা হেফাজতে নিয়ে যায় ও মোটরসাইকেল আরোহী দু’জনের সন্ধান পান। নিহত জোবায়ের আহমেদ আশিক এর লাশ মতলব উত্তর থানা পুলিশ বিনা ময়নাতদন্তের অনুমতি দিয়ে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন ও লাশ দাফন সম্পন্ন করেন বলে থানা পুলিশ জানান।

সরজমিনে যেটি দেখা গেল, বেড়ীবাঁধ এর বাহিরে জাহাজ থেকে পাইপ বসিয়ে বেড়ীবাঁধের উপর দিয়ে বাঁধের ভিতর বালি দিয়ে জায়গা ভরাট করছিলো, বাঁধের উপর পাইপ উঁচু করে ফিটিং করার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটছে বলে প্রতক্ষ্যদর্শীর ধারনা। সড়কের বাম পাশে ছিল সংকেত পিলার, আর এত স্বজোরে মোটর সাইকেল রান করছেন যে ৫ টি পিলার উঠে গেছে, দু,তিনটি পিলার ভেঙ্গে যায়। ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয় বললেন প্রতক্ষ্যদর্শী। মোটর সাইকেল টি দুমড়ে মুচড়ে যায়। থানা হেফাজতে রয়েছে মোটর সাইকেল টি, বললেন এসআই আলামিন কাজল।

Loading

শেয়ার করুন