চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে খাবার পাচার : বাবুর্চিসহ বরখাস্ত ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবার চুরি এবং পাচারের অভিযোগে বাবুর্চি রিজিয়া বেগম, তার মেয়ে পারুল বেগম ও নাতি শাকিলকে বরাখাস্ত করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন তারা এ খাবার পাচারের সাথে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। বৃহস্পতিবার খাবার পাচারকালে জনতার হাতে হাতেনাতে ধরা পড়ার পর টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। খাবার পাচারের বিষয়টি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠসহ অধিকাংশ সংবাদমাধ্যম প্রচার করে। এর ভিডিওচিত্র মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

গতকাল শনিবার হাসপাতালে এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সভা করে। জরুরি সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহাবুবুর রহমান অভিযুক্ত তিনজনকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন। তত্ত্বাবধায়কের এ সিদ্ধান্তকে হাসপাতালের সেবাগ্রহীতাসহ অন্যরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ বলে মনে করেন।

বাবুর্চি রিজিয়াসহ অন্য বাবুর্চিদের বিরুদ্ধে রোগীদের অভিযোগ, তারা ঠিকমতো খাবার দেন না, দুর্ব্যবহার করেন । তাদের বরখাস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তারা মনে করেন। একই সাথে হাসপাতালকে ঘিরে যে চক্রটি রোগীদের সেবা প্রাপ্তিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান রোগীসহ স্বজনরা। এতে করে হাসপাতাল প্রশাসনের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে বলে তারা মনে করেন।

গত ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের পূর্বদিকে ইপিআই ওয়ার্ডের গেট দিয়ে খাবার পাচারের সময় জনতার হাতে হাতেনাতে ধরা পড়ে বাবুর্চি রিজিয়ার সহকারী শাকিল। এ সময় শাকিলসহ অটোবাইক চালক গণধোলাইয়ের শিকার হয়। পরে শাকিলকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা না হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। এ কমিটির সুপারিশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রোটাঃ ডাঃ একেএম মাহাবুবুর রহমান।

গতকাল তিনি সাংবাদিকদের জানান, খাবার পাচারের ঘটনায় তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা হলো বাবুর্চি রিজিয়া বেগম, তার মেয়ে পারুল বেগম ও নাতি শাকিল। তিনি বলেন, যারাই অন্যায়-অনিয়মের সাথে জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শনিবার অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডাঃ সালেহ আহমদ, আবাসিক সার্জন ডাঃ মাহমুদুন্নবী মাসুম, আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ অন্যরা।

Loading

শেয়ার করুন