মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বাঁধ রক্ষায় নদীতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং

সফিকুল ইসলাম রানা :

চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল বলেছেন, মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর ভাঙ্গন রোধ করা গেলে বেড়িবাঁধ রক্ষা করা যাবে। মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধ রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর। বাঁধ রক্ষায় সবাইকে আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের আমিরাবাদ এলাকায় জিও ব্যাগ নিক্ষেপ কার্যক্রম উদ্বোধন কালে চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল একথা বলেন।

বাইশপুর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ৫ হাজার ৫০০ জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করা হবে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৭০০ ব্যাগ নিক্ষেপের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেরীবাঁধ রক্ষায় নদীতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করা হয়েছে।

সাংসদ রুহুল বলেন, মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, সেচ ও নিষ্কাশন খাল, সেচ অবকাঠামো মেরামত ও পুনর্বাসন কাজ করা হবে। জনগণের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ‘মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন ও নদী তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই এলাকার ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এনে প্রতি বছর অতিরিক্ত ১১ হাজার ৪৭১ মেট্টিক টন ধান উৎপাদন সম্ভব হবে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩৪৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি বাস্তবায়ন করবে। জানুয়ারি ২০২৩ থেকে জুন ২০২৫ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পাল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল এমরান খাঁন, জেলা পরিষদের সদস্য সরকার মো. আলাউদ্দিন, জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য তাছলিমা আক্তার আঁখি, এসও জাহাঙ্গীর আলম, আ. রহিম, এসডি ওয়াহেদুর রহমান ভূঁইয়া, সুভ সরকার, ফরাজীকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম, ফতেপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, নাউরী আহম্মদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম তাজুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আবদুর রব, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাড. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

নুরুল আমিন রুহুল বলেন, বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা সরকারের কোন বিকল্প নাই। আগামী বছর নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসবে শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে বাংলাদেশ। আগামীতে এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নাই।

Loading

শেয়ার করুন