ডায়াবেটিসের ১০ উপসর্গ
ডায়াবেটিসের এমন ১০টি উপসর্গ আছে যা সম্পর্কে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষদের অনেকেই জানেন না। ডায়াবেটিসের কিছু উপসর্গ শুধুমাত্র পুরুষদের মধ্যে দেখা যায়। এ প্রতিবেদনে পুরুষদের ডায়াবেটিসের ১০ উপসর্গ উল্লেখ করা হলো।
১. ত্বকে কালো দাগ হয়
আপনার ভিতরকার স্বাস্থ্যের জানালা হচ্ছে, আপনার ত্বক। ত্বকে প্রকাশিত সব ধরনের লক্ষণের ব্যাপারে সচেতন থাকুন। ডায়াবেটিসের লক্ষণও ত্বকে প্রকাশ পেতে পারে। আপনার গলার পেছনে, কুঁচকি কিংবা বগল নোংরা দেখাতে পারে, কিন্তু এসব স্থানে ডার্ক প্যাচ বা কালো দাগ বা কালো আবরণ প্রকৃতপক্ষে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের উপসর্গ। একে অ্যাকেনথোসিস নিগ্রিকেন্স (এএন) বলে। এন্ডোক্রাইন সোসাইটির অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড পাবলিক আউটরিচ কোর কমিটির চেয়ারম্যান, নিউ ইয়র্ক সিটির সেন্ট জোসেফ’স কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং সার্টিফায়েড ডায়াবেটিস এডুকেটর মারগারেট ইকার্ট-নরটন বলেন, ‘ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হরমোনও ত্বকের লক্ষণে অবদান রাখে বলে ধারণা করা হয়।’ তিনি যোগ করেন, এটি (অ্যাকেনথোসিস নিগ্রিকেন্স) এমন কিছু যা ধীরে ধীরে কয়েক বছর ধরে বিকশিত হওয়ার প্রবণতাযুক্ত।’ অ্যাকেনথোসিস নিগ্রিকেনসের চিকিৎসা এর মূল কারণ চিহ্নিতকরণের সঙ্গে জড়িত- এক্ষেত্রে রক্ত শর্করার মাত্রার উপর নিয়ন্ত্রণ পুনরায় অর্জন করতে হবে।
২. পেনিসের অগ্রভাগ লাল ও স্ফীত হয়
আপনার যে টাইপ২ ডায়াবেটিস আছে তা জানান দিতে অনেক সতর্কীকরণ উপসর্গ রয়েছে, যেমন- ইরেক্টাইল ডিসফাংকশন বা লিঙ্গ উত্থিত না হওয়া। যখন আপনার অনিয়ন্ত্রিত রক্ত শর্করা থাকবে, আপনি ব্যালানাইটিসের ঝুঁকিতে থাকবেন। পেনিসের অগ্রচর্ম ও অগ্রভাগ ফুলে যাওয়াকে ব্যালানাইটিস বলে। এর ফলে ব্যথা হতে পারে, অথবা ডিসচার্জ হতে পারে। আপনার প্রস্রাবের রক্ত শর্করা ব্যাকটেরিয়া ও ইস্ট জন্মানোর জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। আপনার ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন, যিনি আপনাকে এ জায়গা পরিষ্কার রাখার সর্বোত্তম উপায় বলে দিবেন এবং চিকিৎসা হিসেবে কোন অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বা অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম রিকমেন্ড করতে পারেন।
৩. শেভিং ক্ষত দ্রুত সারে না
আপনার মুখে শেভিং করার সময় সৃষ্ট ক্ষুদ্র ক্ষত সেরে ওঠতে দেরি হলে তা ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। ইকার্ট-নরটন বলেন, ‘আপনার শর্করা ক্ষতস্থানে আসার ফলে ক্ষত সেরে ওঠতে বিলম্ব হয়।’ আপনার দাড়ির গ্রন্থিকোষের জায়গায় আপনি শেভিং বাম্প এবং হোয়াইট হেডও লক্ষ্য করতে পারেন। ইকার্ট-নরটন বলেন, ‘যখন আপনার টাইপ২ ডায়াবেটিস থাকবে, আপনার মুখের তৈল গ্রন্থিও লো-গ্রেড ইনফেকশনের কারণ হবে।’
৪. হাত ও পায়ে ব্যথা ও অসাড়তা হয়
টাইপ২ ডায়াবেটিসের অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে নার্ভ ড্যামেজ, যাকে পেরিফেরাল ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি বলে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, ‘আপনি রণন অনুভব করতে পারেন, অথবা পায়ে পিন ও সুঁচ বিদ্ধ হওয়ার মত যন্ত্রণা অনুভব করতে পারেন, কিংবা ব্যথা, অসাড়তা ও দুর্বলতা অনুভব করতে পারেন।’ এসব অনুভূতি প্রথমদিকে পায়ে হলেও পরবর্তীতে হাতেও হতে পারে। ব্যথা এবং অসাড়তা হ্রাস করতে রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৫. খুব তৃষ্ণা পায়
টাইপ২ ডায়াবেটিসের কমন উপসর্গ হচ্ছে তৃষ্ণা পাওয়া, প্রকৃতপক্ষে এটি অন্তত ৮টি মেডিক্যাল সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। আপনি লক্ষ্য করে থাকবেন যে পানি খাওয়ার পরও আপনার তৃষ্ণা নিবারণ হচ্ছে না। ইকার্ট-নরটন বলেন, ‘রক্ত শর্করার মাত্রা বৃদ্ধির কারণে এরকম হচ্ছে, যা অতিরিক্ত শর্করা বের করে দেওয়ার জন্য কিডনিকে চাপ প্রদানের মাধ্যমে অধিক প্রস্রাব উৎপাদনের ফল।’ অধিক প্রস্রাব উৎপাদন হলে আপনি বেশি করে মূত্রত্যাগ করবেন, যা আপনাকে ডিহাইড্রেশনের দিকে ধাবিত করবে এবং আপনি বেশি করে পানি পান করতে চাবেন। যদি আপনি ঘনঘন প্রস্রাব করেন কিংবা অধিক তৃষ্ণা অনুভব করেন, তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
৬. চোখে ভাসন্ত কালো বিন্দু দেখা যায়
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস চোখের ক্ষতি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আই ইনস্টিটিউটের মতে, ‘উচ্চ রক্ত শর্করা রেটিনায় রক্তনালীর ক্ষতি করে রক্তপাত ঘটায় এবং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির দিকে ধাবিত করে।’ আপনার দৃষ্টির সামনে ব্ল্যাক ফ্লোটিং স্পট বা ভাসন্ত কালো বিন্দু লক্ষ্য করতে পারেন এবং আপনার দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে। আপনার মধ্যে টাইপ২ ডায়াবেটিসের এসব লক্ষণ দেখা দিলে সম্পূর্ণ চক্ষু পরীক্ষার জন্য ডাক্তারের কাছে যান। চোখের সুস্থতা নিশ্চিত করতে আপনার প্রতিবছর অন্তত একবার চক্ষু পরীক্ষা করা প্রয়োজন হবে।
৭. ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়
আপনার ব্যাখ্যাতীত খুব ক্ষুধা পেলে তা হতে পারে টাইপ২ ডায়াবেটিসের উপসর্গ। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের মানে হচ্ছে শরীরের কোষে শর্করা পৌঁছানো কঠিনতর হয়ে যাওয়া, যেখানে এটি শক্তি উৎপাদন করে। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে আপনার শরীর অধিক ইনসুলিন উৎপাদন করে এবং এটি আপনার ক্ষুধা জোরদার করে ও আপনার মধ্যে খাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে উদ্দীপিত করে। ইকার্ট-নরটনের মতে, এভাবেও ওজন বৃদ্ধি পায়। তিনি যোগ করেন, কিছু রোগী ডেস্কে ক্যান্ডি বার রাখে, যখন তারা নিম্ন রক্ত শর্করা অনুভব করে তখন তারা ক্ষুধা নিবারণে তা খায়। সমস্যা হচ্ছে তারা অত্যধিক খাওয়া এবং অনুপযুক্ত ধরনের খাবারের (যেমন- ক্যান্ডি বার) দিকে ঝুঁকে যা শরীরের জন্য ভালো নয়।
৮. মেজাজ খারাপ হয়
নিম্ন রক্ত শর্করা দ্বারা উদ্দীপিত সমস্যাসমূহের মধ্যে বেশ পরিচিত একটি সমস্যা হচ্ছে, মুড ডিসঅর্ডার বা মেজাজ খারাপ হওয়া। ২০১২ সালে ডায়াবেটোলজি অ্যান্ড মেটাবলিক সিন্ড্রোমে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা যায়, যেসব পুরুষের টাইপ২ ডায়াবেটিস ছিল তাদের মেজাজ সুস্থ পুরুষদের চেয়ে বেশি বিষণ্ন ছিল। খোশমেজাজ বজায় রাখার জন্য রক্ত শর্করার ভারসাম্য গুরুত্বপূর্ণ। যখন ভারসাম্যের পতন হয়, নিম্ন রক্ত শর্করা মেজাজকে খিটখিটে বা খারাপ করতে অবদান রাখতে পারে।
৯. মাড়ি থেকে রক্ত ঝরে
মৌখিক স্বাস্থ্যবিধির শীর্ষে থাকার একটি কারণের কথা হয়তো আপনি শুনে থাকবেন, এটি হচ্ছে- মাড়ির সমস্যা আপনাকে হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিতে রাখতে পারে। আপনার দাঁত আপনার শরীরের অনেক সমস্যার কথা প্রকাশ করতে পারে এবং তাদের একটি হচ্ছে ডায়াবেটিস। মাড়ির রোগ হচ্ছে পুরুষদের ডায়াবেটিসের একটি উপসর্গ। যেসব লোকদের ডায়াবেটিস আছে তাদের মধ্যে পিরিয়ডোনাইটিস (একটি ইনফেকশন যা মাড়ির ক্ষতি ও দাঁত ক্ষয়ের কারণ) বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা ডায়াবেটিস না থাকা লোকদের তুলনায় তিনগুণের বেশি। মাড়ি লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া এবং মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া হচ্ছে পিরিয়ডোনাইটিসের কয়েকটি লক্ষণ। এরকম হলে ডেন্টিস্টকে দেখানো খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং একে নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। এই ইনফেকশন অন্যভাবেও কাজ করতে পারে এবং রক্ত শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।
১০. মাথা ঝিমঝিম করে বা মাথা ঘোরে
যখন আপনি ডায়াবেটিসের সম্ভাব্য উপসর্গের কথা চিন্তা করবেন, আপনার মনে মাথা ঝিমঝিম করা বা মাথা ঘোরার বিষয়টি নাও আসতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি ডায়াবেটিসের একটি উপসর্গ এবং কমপক্ষে ৮টি মেডিক্যাল কারণে আপনার মাথা ঝিমঝিম করতে পারে বা মাথা ঘুরতে পারে। আর্কাইভস অব ইন্টারনাল মেডিসিনের ২০০৯ সালের এক গবেষণামতে, ‘ইনার ইয়ার ডিসঅর্ডার (যা মাথা ঝিমঝিম করা বা ঘোরা ও মাথার ভারসাম্যহীনতা হিসেবে দেখা দিতে পারে) টাইপ২ ডায়াবেটিস না থাকা লোকদের তুলনায় টাইপ২ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ বেশি ছিল।’ ডায়াবেটিস ক্ষুদ্র রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যে কারণে কানের ভিতরের স্ট্রাকচারে রক্তপ্রবাহ বিঘ্নিত হয়।
ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির সহজ উপায়
বর্তমান যুগে ডায়াবেটিস নামের মধ্যেই যেনো এক প্রকার আতঙ্ক ও উদ্বেগ জড়িয়ে রয়েছে। আজকের যুগে বহু মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। তবে এ রোগ প্রতিকারের রয়েছে অনেক সহজ পন্থা। যার সাহায্যে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ। সেই সঙ্গে সঠিক চিকিৎসা ও খাদ্যাভাসও একান্ত জরুরী।
গ্লুকো কেয়ার : গ্লুকো কেয়ার-এ রয়েছে সয়া প্রোটিন, আমলকী, করলা, জামবীজ, আলফালাফা পাতা, রসুন, মেথি, চিরতা ও কালো জিরাসহ বেশ কিছু প্রাকৃতিক বা ভেষজ উপাদান। যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রেখে ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়।
সেবন বিধি : সকাল : ১. একদম খালিপেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন। ২. আঘা ঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ গ্লুকো কেয়ার পাউডার মিশিয়ে পান করবেন। ৩. এক ঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে চার চামচ সয়া পাউডার মিশিয়ে খাবেন। ৪. এক ঘণ্টা পর এক চামচ ভাত বা দুই টুকরো রুটি বা রুটি না খেয়ে সালাদ খাওয়া উত্তম। ৫. উষ্ণ এক গ্লাস পানির সাথে আধা চামচ নিজেলা স্যাটিভা (ঘরমবষষধ ঝধঃরাধ) পান করবেন।দুপুর : ১. বাড়িতে তৈরি খাবার খাবেন, যা তেলমুক্ত (সম্ভব না হলে যত কম তেল খাওয়া যায়)। এর সাথে সালাদ খাবেন। ২. আধা ঘণ্টা পর দুই চা চামচ টক দই খাবেন।রাত : ১. একদম খালিপেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করবেন। ২. আঘা ঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ গ্লুকো কেয়ার পাউডার মিশিয়ে পান করবেন। ৩. এক ঘণ্টা পর এক গ্লাস পানিতে চার চামচ সয়া পাউডার মিশিয়ে খাবেন। ৪. এক ঘণ্টা পর শুধুমাত্র সালাদ খাবেন। এই ক্ষেত্রে কোনোভাবেই ভাত বা রুটি খাওয়া চলবে না। ৫. উষ্ণ এক গ্লাস পানির সাথে আধা চামচ নিজেলা স্যাটিভা (Nigella Sativa) পান করবেন।
করণীয় :
সকালে খালি পেটে ৩০ মিনিট এবং রাতে খাবারের পর ১০ মিনিট দ্রুত হাঁটবেন।
দৈনিক চার গ্লাস কুসুম কুসুম গরম পানি পান করবেন।
ব্লাড প্রেসার থাকলে নিয়মিত চেক করবেন।
বর্জনীয় :
তেল-চর্বি জাতীয় খাদ্য এবং কোমল পানীয় বাদ দিতে হবে।
ধূমপান এবং অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে।
ফার্স্টফুড এবং চিনি জাতীয় খাদ্য নিষেধ।
পরামর্শ :
১। প্রতিদিন ফল ও সবুজ সবজি খাবেন। যে কোনো ধরনের মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন।
২। সঠিক সময়ে খাবার খান। অতিরিক্ত খাবার খাবেন না।
৩। সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এটি আপনার শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় উপাদান বের করতে সাহায্য করে।
৪। সর ছাড়া দুধ ও ডিম খান। তেল খেলে তা খুব অল্প পরিমাণে খাবেন।
৫। ফাইবার জাতীয় খাবার তালিকায় রাখুন।
৬। সম্ভব হলে দিনে দুইবার আপেলের রস খান।
ডয়াবেটিস রুখতে বেশ কিছু ভেষজ প্রতিকারও রয়েছে। জেনে নিন সেসব প্রতিকার সম্পর্কে :
১। ডায়াবেটিস রোধে জাম খুব উপকারী। এটি শর্করাকে শ্বেতসারে রূপান্তরিত হতে বাধা দেয়।
২। রসুন এই রোগেরই একটি অন্যতম ভেষজ প্রতিকার। রসুনে অ্যালিসিন থাকে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেয় না।
৩। প্রতিদিন সকালে যদি ৫ থেকে ১০টি তাজা কারী পাতা খাওয়া যায়, তবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ।
৪। টাটকা আমের পাতাকে একগ্লাস পানিতে সেদ্ধ করে সারারাত রেখে দিন। পরদিন সকালে পাতা ছেঁকে যদি সেই পানি পান করা যায়, তবে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভবনা থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
ডায়াবেটিস থেকে রক্ষার জন্য প্রতিদিন উপরোক্ত ঔষধ খেতে হবে আপনাকে। সেই সাথে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনতে হবে আপনার জীবনে। বলা চলে, আপনার দৈনন্দিন কর্মকান্ডের ভেতর।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্যে আপনি এই নিয়মগুলো মেনে চলুন, আশা করা যায়, অতি দ্রুতই আপনি দুঃশ্চিন্তামুক্ত, সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন।
খালি পেটে ফলের রস পান করা, কিংবা ফল খাওয়া ডায়াবেটিস রোধে খুবই কার্যকর। তবে দেখা গেছে, স্বাদে তিতা ফলের রস খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে করলা বা উচ্ছে জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এগুলো জুস বা ভাজি করে খাওয়া যেতে পারে। এজন্য অবশ্য আপনার নিয়মিত খাবারের তালিকা পরিবর্তনের দরকার হবে না।
১. প্রতিরাতে শোবার আগে পানিতে ক’টি মেথির বীজ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ব্রাশ করার পর খালি পেটে ওই বীজগুলো খেয়ে ফেলুন।
২. জামরুল ফল ডায়াবেটিস সারানোর জন্যে একটি অত্যন্ত উপকারি ফল। এর কিছু বীজ ধুয়ে শুকিয়ে, তারপর গুড়া করে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
৩. পেয়ারা এমন একটি ফল, যেটি প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। সম্প্রতিক একটি গবেষণায় এটি স্পষ্ট যে, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটির খোসা রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তাই আপনার জন্যে এর খোসা না খাওয়াই ভালো।
৪. আমলা জাতীয় ফল রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে থাকে।
৫. আপনার চা বা কফিতে চিনির পরিবর্তে মধু দিন।
৬. গবেষণায় প্রমাণিত, চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি পান করলে দু’ধরনের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি থাকে না।
৭. এছাড়া গ্রিন চা শরীরের রক্তে চিনি ও ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস হলে দেহের রোগ নিরাময় ক্ষমতা কমে যায়। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
চাপ দূর করতে মেডিটেশন : চাপ থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত মেডিটেশন করুন। করটিসল, এপিনেফ্রিন এবং গ্লুক্যাজন এসব হরমোন বেড়ে যায় চাপের কারণে। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বহুলাংশে কমে যায়।
ভালোমতো ঘুম : ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভালো করে ঘুমানো খুব জরুরি। ঘুমের সমস্যার কারণে ওজনাধিক্য এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঘুম কেবল এসব সমস্যাই নয়, মস্কিষ্ক শিথিল করে মানুষকে কর্মক্ষম রাখতেও সাহায্য করে।
নিয়মিত ব্যায়াম : প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। শারীরিক কার্যক্রম দেহে টিস্যুর সংবেদনশীলতা বাড়াতে কাজ করে এবং ওজন ঠিক রাখে। ব্যায়াম রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী। তবে ব্যায়াম শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তাজা খাবার খান : চেষ্টা করুন তাজা খাবার খেতে। কারখানায় খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় অনেক খাবারের মান নষ্ট হয়ে যায় বা কমে যায়। বেশি করে ফল, সবজি, মাছ, মাংস এবং বাদাম খাওয়া ভালো। এসব খাবার কার্বোহাইড্রেট, শর্করা এবং চর্বিকে পরিশোধিত করে। এসব খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
মনে রাখবেন, এটি জটিল কোনো রোগ না হলেও একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা। তাই ‘গ্যারান্টি’ চিকিৎসার আকর্ষণে না ভুলে নিয়মিত চিকিৎসা নিন ও নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন মেনে চলুন।
রোগীর অবস্থা শুনে ও দেখে সারাদেশের যে কোনো জেলায় বিশ্বস্ততার সাথে কুরিয়ার সার্ভিসে ঔষধ পাঠানো হয়।
ঔষধ পেতে যোগাযোগ করুন :
হাকীম মিজানুর রহমান (ডিইউএমএস)
(শতভাগ বিশ্বস্ত ও প্রতারণামুক্ত অনলাইন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান)
ইবনে সিনা হেলথ কেয়ার
হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর।
যোগাযোগ করুন : (সকাল ১০টা থেকে রাত ০৮ টা (নামাজের সময় ব্যতীত)
01960-288007
01762-240650
01834-880825
01777-988889 (Imo/whats-app)
শ্বেতী রোগ, যৌন রোগ, ডায়াবেটিস,অশ্ব (গেজ, পাইলস, ফিস্টুলা),ব্লকেজ, শ্বেতপ্রদর, রক্তপ্রদর , আলসার, টিউমার, বাত-ব্যথা, দাউদ-একজিমা ইত্যাদি রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- ধবল বা শ্বেতী রোগ কি? এ রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
- যৌন রোগের লক্ষণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- অর্শ বা পাইলস: কারণ, লক্ষণ, করণীয়, খাদ্যাভ্যাস, চিকিৎসা
- ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির সহজ উপায়
- যৌন সমস্যার কারণ লক্ষ্মণ ও চিকিৎসা
- শ্বেতী রোগের কারণ, লক্ষ্মণ ও প্রতিকার
- রং ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক উপায়
- ৫ উপায়ে অর্শ বা পাইলস সারিয়ে তুলুন
- শ্বেতী বা ধবল রোগ থেকে মুক্তির উপায়
- যৌনমিলনে সমস্যা ও মিলন দীর্ঘস্থায়ী করতে কিছু টিপস
- কালোজিরার অবাক করা ৭টি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা
- মানসিক রোগে করণীয়
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ৪ প্রাকৃতিক উপায়
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়
- ক্যানসার চিকিৎসায় যুগান্তকারী ওষুধ আবিষ্কার
- অ্যালার্জি দূর করবে ৫টি খাবার
- সোরিয়াসিস : কারণ ও প্রতিকার
- নারী ও পুরুষের যৌন দুর্বলতা এবং তার চিকিৎসা
- যৌন মিলন দীর্ঘ সময় করার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি
- গ্লুকোমার আধুনিক চিকিৎসা
- ফিস্টুলার চিকিৎসা
- লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণের ৫টি উপায়
- অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ জটিলতা ও অপারেশন
- মানসিক রোগ থেকে বেঁচে থাকার ১০টি উপায়
- বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারণ ও করণীয়
- গর্ভধারনের প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গসমূহ
- স্লিম ও সুন্দর থাকতে গড়ে তুলুন ৪টি সহজ অভ্যাস
- বিভিন্নপ্রকার যৌন সমস্যা ও চিকিৎসা
- মুখের কালো দাগ ও ত্বকের মেছতার দাগ চিরতরে দূর করুন
- শ্বেতী রোগ থেকে মুক্তির সহজ উপায়
- দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার জন্য নাইট কিং
- নাকের পলিপাস : কারণ ও চিকিৎসা
- হার্টের ব্লকেজ নির্মূল করুন বিনা অপারেশনে
- মাথাব্যথা দূর করুন ১০ মিনিটেই
- গেজ, অশ্ব,পাইলসের সহজ চিকিৎসা
- ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় শক্তিশালী ১৬টি ভেষজ
- নারী-পুরুষের যৌনবাহিত রোগ চিকিৎসা
- নারীর অতিরিক্ত সাদাস্রাবের লক্ষণ ও চিকিৎসা
- পুরুষের গোপন সমস্যা, দ্রুত বীর্যপাতের সমাধান
- পুরুষাঙ্গে ব্যথা ও যন্ত্রণা : কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
- নারীর যৌন শীতলতার অন্তরালে ৭টি কারণ ও সমাধান
- পায়ুপথে চুলকানির কারণ ও চিকিৎসা
- লিভার সিরোসিস : কারণ ও প্রতিকার
- লিউকেমিয়া রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা
- কী কারণে ঠোঁটে সমস্যা হয়?
- বাংলাদেশ, কোলকাতা, আমেরিকার হাসপাতাল, ডাক্তারের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার
- নারী পুরুষের ভয়ঙ্কর যৌনবাহিত রোগ ও চিকিৎসা
- ৫টি মারাত্মক যৌনরোগের উপসর্গ: সাবধান!
- হাঁপানির নতুন চিকিৎসা
- শ্বেতির সাদা দাগ দূর করার সহজ কিছু উপায়
- নারী-পুরুষের যৌন রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
- যৌন সমস্যা ও প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ায় করণীয়
- চর্ম রোগ ও ত্বকের সমস্যা এবং এর চিকিৎসা ও সমাধান
- স্ট্রোকের কারণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করণীয়
- ‘ক্যান্সার রোগ নয়, এটা একটা ব্যবসা’
- উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমানোর সহজ উপায়
- হার্ট অ্যাটাক’য়ের উপসর্গ ও সাবধানতা
- ক্যান্সার : লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়
- লিউকেমিয়া রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা
- আইবিএস রোগের চিকিৎসায় করণীয়
- জন্ডিসের কারণ ও করণীয়
- বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে করণীয়
- শ্বেতপ্রদর ও স্ত্রী যৌনাঙ্গ পথে প্রদাহের কারণ ও প্রতিকার
- বুক ধড়ফড় করার ৮টি কারণ ও করণীয়
- প্রেসার লো হলে যা করনীয়
- বাংলাদেশ পুলিশের সকল থানার সরকারি মোবাইল নম্বর
- ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার
- পুরুষের শারীরিক সক্ষমতা ম্যাজিকের মত বাড়িয়ে দেয় নাইট কিং
- ‘নখকুনি’ নিরাময়ের সহজ উপায়
- একজিমা বা বিখাউজ কি? ঔষধ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধে করনীয়
- জিম নয়, জেনে নিন ঘরে বসেই খুব সহজে আকর্ষণীয় ফিগার পাবার উপায়
- লিভারের ফ্যাট কমানোর সহজ উপায়
নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের পেইজে লাইক দিন এবং শেয়ার করুন …